Ads:

  • সর্বশেষ

    আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বৌদ্ধ দের ২য় প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।

    বান্দরবান প্রতিনিধি: সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা।

    আগামী কাল ৬ এবং ৭ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। 



    শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আশ্বিন মাসে এ দিনটি উৎযাপিত হয় বলে আশ্বিনী পূর্ণিমা নামে ও পরিচিত। প্রবারণা শব্দের অর্থ হলো প্রকৃষ্টরুপে বরণ করা বা নিষেধ করা। বরণ করা অর্থে বিশুদ্ধ বিনয়াচারে জীবন পরিচালনা করার আদর্শে ব্রতী হওয়া। আর নিষেধ অর্থে আদর্শ ও ধর্মাচারের পরিপস্থি কলমগুলো পরিহার করাকে বোঝায়। আষাঢ়ী পুর্ণিমা যা আষাঢ় মাস হতে শুরু হয়ে আশ্বিনী পূর্ণিমা আশ্বিন মাস পর্যন্ত তিন মাস ব্যাপী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস ব্রত থাকেন। বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষু রা একে অপরের কাছে নিজেদের দোষত্রুটি প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্তের জন্য আহ্বান জানান। যা আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ বিনয়াচার পালনে সহায়তা করে। এ তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মীয় ও বিভিন্ন নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে তারা জীবনযাপন করে থাকেন। পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা ও এ তিন মাস যথাযথ ভাবে ধর্মীয় নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন অতিবাহিত করে থাকেন।


    এ ধর্মীয় উৎসব এর মূল তাৎপর্য হলো সংঘের সদস্যদের নিজেদের দোষত্রুটি প্রকাশ করে প্রায়শ্চিত্তে আহ্বান জানানো। যা বিশুদ্ধ জীবনযাপনের পথ নির্দেশ করে। এই দিনে তথাগত গৌতম বুদ্ধ স্বর্গে মাতা মায়াদেবীকে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন। যা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে। এই উৎসব আশ্বিনী পূর্ণিমা দিনে পালিত হয় এবং এর সঙ্গে ফানুস উড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতীকী যা বুদ্ধের মহত্ত্ব ও ধর্মকে আকাশে উড্ডীন করার প্রতিক। এভাবে প্রবারণা শেষে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে পালিত হয় শুভ দানোৎতম কঠিন চীবরদান। যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী ও ধর্ম প্রচার করে থাকেন।


    বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওসার পিপিএম (বার) বলেন, শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ২য় প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব উৎযাপনের লক্ষ্যে জেলার পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে পুলিশ প্রশাসন শান্তি ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে যাতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা এ ধর্মীয় উৎসব সুস্থ ও সুশৃঙ্খল ভাবে উদযাপন করতে পারেন। 


    বান্দরবান উৎসব উৎযাপন কমিটির সভাপতি চনুমং মারমা জানান, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার কমিটির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ অব্যহত রেখেছি। প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে যাতে শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে এ ধর্মীয় উৎসব উৎযাপিত হয় তারই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

    No comments

    ADS :

    Post Bottom Ad

    ad728