নাইক্ষ্যংছড়িতে অপহৃত ব্যাক্তির সন্ধানে বান্দরবানে মানববন্ধন।
বান্দরবান প্রতিনিধি: সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নেয় ৮নং ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জুমচাষি সুমন তঞ্চঙ্গ্যা ও ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা অপহৃত ব্যাক্তির সন্ধানে ও ৪০টি গৃহপালিত গরু চুরি হওয়াসহ প্রসাশনের কোনো আইনগত সহযোগিতা না পাওয়ার প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ: ১৬ নভেম্বর (রবিবার) সকাল ১০:০০ টায় বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে রেলি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক: জমাধন তঞ্চঙ্গ্যা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের প্রতিনিধি নেলসন ত্রিপুরা,
বাংলাদেশ ম্রো ছাত্র ফোরামের জেলা সভাপতি: তওনেয়া ম্রো,
বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েল ফেয়ার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক: বিতনময় তঞ্চঙ্গ্যা,
মানবাধিকার কর্মী: জন্স ত্রিপুরা, বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েল ফেয়ার ফোরাম বান্দরবান অঞ্চল কমিটির সভাপতি: শিমুল তঞ্চঙ্গ্যা সহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ রা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত সরকারের আমলে খুন, অপহরণ, নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড কম সংখ্যক দেখা গেলেও কিন্তু ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরেও স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশে আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য খুন, অপহরণ, নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পিছনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া ও কিছু ষড়যন্ত্র কারীর হাত রয়েছে বলে জানান তারা। তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা আরো বলেন, সময় থাকতে এসব বন্ধ করুন অন্যথায় পাহাড়ি আদিবাসী ছাত্র সমাজ সেসকল ষড়যন্ত্রকারীরবিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে উচিত জবাব দিতে প্রস্তুত। অপহরণকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এবং অপহরণকারীদের চিহ্নিত করতে পাহাড়ি আদিবাসীদের ছাত্র সমাজ সহযোগিতা করতে আগ্রহী প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য: গত ৮ই অক্টোবর ২০২৫ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গর্জন বনিয়া থেকে সুমন তঞ্চঙ্গ্যা নামে এক জুমচাষীকে এবং গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঘুমধুম ইউনিয়নের ভালুকিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা অপহরণের শিকার হন। ২_৩ মাস পার হলেও তাদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর হাত রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

No comments