Ads:

  • সর্বশেষ

    যশোর জেলা পরিষদের সেই উচ্চমান সহকারী পাকা কলা ঘুষ নেওয়া আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা পরিষদের সেই উচ্চমান সহকারী পাকা কলা ঘুষ নেওয়া আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।



    এসব পাকা কলা ঘুস নেন জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন


    কাজ করে দেওয়ার কথা বলে পাকা কলা ঘুস নেওয়া যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে দুদকের গণশুনানিতে নির্দেশ দেওয়ার ১০ দিন পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


    জানা যায়, জেলা পরিষদের জমি ইজারার নামে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পাকা কলা ঘুস নেওয়ার কথা স্বীকার করেন সহকারী আলমগীর হোসেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। দুদক কমিশনারের নির্দেশনার ১০ দিন পর (৫ নভেম্বর) আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।


    বুধবার জেলা পরিষদের আদেশে বলা হয়েছে, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চার ব্যক্তির জমি ইজারা প্রদান সংক্রান্ত যশোর জিলা পরিষদের কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তার প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গণশুনানি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী যশোর জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনকে অন্যত্র বদলিসহ সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা প্রদান করেন। 


    বিষয়টি ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার ফলে ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।


    জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। মামলার তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    No comments

    ADS :

    Post Bottom Ad

    ad728