কালেরকণ্ঠ ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পাহাড়ে বিদ্যুৎ।
সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা, বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কি.মি দূরে পোপা বদলাপাড়া। স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মাথায় এই প্রথম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেল এখানকার বাসিন্দারা- নাম পোপা বদলা আশা-হোফনূং আনন্দময়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বিদ্যালয়টি। এটি প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে আছেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা তরুণ- নাম উথোয়াইয়ই মারমা। পেশায় স্কুল শিক্ষক। শুধু এটি নয়, তাঁর হাত ধরে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে এমন আরো তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠেছে।
বিদ্যালয়টিতে এতদিন কোন বিদ্যুৎ ছিল না। কালের কণ্ঠ ও বিজিটি শো'তে প্রতিবেদনের পর ‘ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফর সাসটেইনেবল বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন সেখানে। তখন পাড়াবাসী জানিয়েছিল, স্কুলের জন্য সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা গেলে খুব ভালো হতো। এবার সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো পোপা বদলাপাড়ার সেই হোফনূং বিদ্যালয়টি। সংগঠনটির সদস্য লিলি মারমার সহযোগিতায় আজিমুর রোকেয়া রহমান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ফায়জা রহমানের অর্থায়নে এই উদ্যোগ সম্পন্ন হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রথমত এতদিন আমাদের গ্রামে আমাদের ছেলেমেয়ে দের পড়ালেখা শুরু করার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো না। আমরা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছি। এখন আমাদের ছেলেমেয়ে রা প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়। পরে বিদ্যালয়ে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না পরে আবার আমরা এখন সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছি। আমরা সবকিছুর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
উদ্যোক্তারা জানান, সত্যি কথা বলতে, আমরা এমন একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়ে সফল হতে পেরে সত্যি আমরা গর্বিত। আমরা ঘুরে ঘুরে দেখেছি,পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষ এখনো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তারা রাষ্ট্রভাষা বাংলা ভাষা টা পর্যন্ত ঠিকমতো বলতে পারেন না। আমরা সামনেও এমন উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত এবং সামনে ও আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।
No comments