Ads:

  • সর্বশেষ

    বরগুনার ৬ উপজেলায় ২৪৫ লোহার সেতু ঝুঁকিপূর্ণ

    মোহাম্মদ নাঈম (সম্পাদক)  : বরগুনার ছয় উপজেলায় সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ২৪৫টি লোহার সেতু। বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই এসব সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া এমন অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে হরহামেশেই পার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন।

    বরগুনা এলজিইডি কার্যালয়ের তথ্যে জানা যায়, বরগুনার ছয় উপজেলায় প্রাথমিকভাবে মোট ২৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রয়েছে আমতলী উপজেলায়। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৬১, তালতলীতে ২৮, বামনায় ২৫, বেতাগী ও পাথরঘাটায় রয়েছে ১৬টি করে মোট ৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। পরে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সব সেতুরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।



    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেতুর অধিকাংশতেই ছিল না ঝুঁকিপূর্ণ লেখা কোনো সাইনবোর্ড। সর্বশেষ ২২ জুন আমতলীর হলদীয়া সেতুটি ভেঙে নিহত হন শিশুসহ ৯ জন মাইক্রোবাস যাত্রী। এ ঘটনার পর বিভিন্ন সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ শুরু হয়। বরগুনায় গত দুই বছরে বিভিন্ন এলাকার সাতটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।


    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেকটি সেতুই যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। প্রায় সেতুরই বিভিন্ন জায়গা থেকে দেবে যাওয়া, মরিচা ধরে নষ্ট লোহার অ্যাঙ্গেলের পাশাপাশি লোহার খুঁটি ভেঙে বিলীন হয়ে যাওয়ায় যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষ চলাচলেই রয়েছে বড় ধরনের ঝুঁকি। এরপরও বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এসব সেতু পার হচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন।

    সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় ২০০২ সালে এলজিইডির অধীনে নির্মিত নায়েব বাড়ি নামক সেতুটি প্রায় দুই বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। ওই ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এটিই একমাত্র সংযোগ সেতু। এ সেতুটিতে সুপারি গাছের গুঁড়ি দিয়ে সাঁকো বানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঠিক একই অবস্থা বরগুনার সোনাখালী এলাকার আরো একটি সেতুর।


    কলেজ শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর ধরেই আমাদের গ্রামের ছোট, বড় সবাই এই ভাঙা সেতু পার হয়েই স্কুল, কলেজসহ প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করেন। এ সেতু পার হতে গিয়ে তিন চারজন পড়ে আহত হন। সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। একই এলাকার শানু খান বলেন, রোগী পার করতে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, হয় সেতুটি সরিয়ে ফেলুক আর না হয় দ্রুত সংস্কার করুক।

    এ বিষয়র বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান বলেন, জেলায় কতগুলো আয়রন ব্রিজ মেরামতযোগ্য এবং কতগুলো অমেরামতযোগ্য তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আশা করি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসবে, নয়তো নতুন করে বাজেট অথবা চলমান কোনো প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

    No comments

    ADS :

    Post Bottom Ad

    ad728